সংস্কারের অগ্রগতি কতটুকু?

 সংস্কারের অগ্রগতি কতটুকু? 

৫ আগষ্টের ছবি


দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারের সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে রাষ্ট্র সংস্কার।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণগুলোতেও বারবার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। গত ২৫ আগস্ট তার প্রথম ভাষণে তিনি বলেন,

“জনস্বার্থের বিপরীতমুখী এক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে হয়েছে। আমরা এখান থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যেন এ দেশের জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়।”

তিনি আরও বলেন,

“তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও জনতার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে সফল আমাদের হতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”

গণঅভ্যুত্থানের এক মাসের মাথায় সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন সংস্কারে ছয়টি আলাদা কমিশন গঠন করে। পরে এই তালিকায় আরও চারটি কমিশন যুক্ত করা হয়:

  • স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন
  • গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
  • শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন
  • নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন

কমিশনগুলো ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে সংস্কার প্রক্রিয়া কতদিনে শেষ হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো নির্ধারিত সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি।

বিশ্লেষকরা কমিশন গঠনের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জোবাইদা নাসরীন বলেন,

“শেখ হাসিনার পতনের পর জনগণ দ্রুত কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখার প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু সরকার সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”

এদিকে, কিছু রাজনৈতিক দল সংস্কার প্রক্রিয়ার ধীরগতির সমালোচনা করেছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।

ড. নাসরীন বলেন,

“সরকার কতদিন ক্ষমতায় থেকে কী প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র সংস্কার করতে চায়, তা স্পষ্ট করা জরুরি। এতে সংস্কার কাজেও গতি আসবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন